আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অভিমানে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সেলিম (কবি সেলিম বালা)। তিনি
ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
মনোনয়ন না পেয়ে তিনি এ পদ থেকে রোববার (২৩ নভেম্বর/২৫) পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রটি সোমবার (২৪ নভেম্বর/২৫) নিজের ফেসবুকে আপলোড করে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘ময়মনসিংহ-৩ নির্বাচনি এলাকার প্রিয় জনগণ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কিছু ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে আমি এতদিন যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, সেই ‘জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির ‘যুগ্ম মহাসচিব’-এর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। আমি আমার পদত্যাগপত্রটি ইতোমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পথচলায় যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে আপনাদের সঙ্গে নিয়েই নতুন পথে আমাদের পথচলা শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে পদত্যাগের পরেই নির্বাচনি এলাকায় মুখেমুখে ঘুরছে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপিতে যোগদান করে শাপলা কলি নিয়ে ত্রয়োদশ নির্বাচনে মাঠে মাঠে থাকতে পারেন। তবে এবিষয় জানতে মোবাইল ফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। খুদেবার্তায় তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, আপাতত কিছুই বলতে চাচ্ছি না। সময়ে সব জানবেন, ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে তার ফেসবুকে বিষয়টি পোস্ট করার পর অনেকেই পজেটিভ -নেগেটিভ অনেক মন্তব্য করেছেন। ‘শুভ কামনা’ লিখে মন্তব্য করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খলিলুর রহমান। জুলাইযোদ্ধা মোজাম্মেল হক লিখেন ‘ঠিক আছে গৌরীপুরের কবি।’শাপলা কলির ছবিযুক্ত রুবেল ইসলাম লেখেন- ‘আপনার নতুন পথের পথচলায় আমরা সাথে আছি, ইনশাআল্লাহ।’মিজানুর রহমান প্রিয় লেখেন ‘এনসিপি প্রার্থী কনফার্ম।’
এছাড়াও নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করেন। তবে এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত কবি সেলিম বালা কোনো মন্তব্য করেননি।
কবি সেলিম বালা তার নিজ নির্বাচনি এলাকা গৌরীপুরে একজন নীরব মানবিক কর্মযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত। উপজেলাার শত শত নারীকে কর্মসংস্থানের জন্য সেলাইমেশিন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াসহ প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের জন্য দোকানঘর নির্মাণ করে দেয়া, হুইলচেয়ার, শিক্ষা উপকরণ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, দুস্থ অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা, নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এছাড়াও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ছিল তার নিয়মিত মানবিক কাজ। করোনাকালীন দুর্যোগে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে অসহায়দের সহায়ক ছিলেন তিনি।




