গাজা চুক্তির প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে ইসরাইল ও হামাস: ট্রাম্প

আন্তরজাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত গাজা চুক্তির প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে ঘোষণা করছি যে ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে।”

“এর অর্থ হলো খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে এবং ইসরাইল তাদের সৈন্যদের একটি ‘সম্মত রেখায়’ প্রত্যাহার করবে যা একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং চিরস্থায়ী শান্তির দিকে প্রথম পদক্ষেপ,” ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, “সব পক্ষের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা হবে।”

ট্রাম্প এই মুহূর্তটিকে আরব ও মুসলিম বিশ্ব, ইসরাইল, আশপাশের দেশগুলি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি মহান দিন’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ট্রাম্প তুরস্কসহ সক মধ্যস্থতাকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, “যারা এই ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটাতে আমাদের সাথে কাজ করেছেন।”

“শান্তি প্রতিষ্ঠাকারীরা ধন্য,” তিনি বলেন।

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন যে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই তিনি এই সপ্তাহান্তে মিশর ভ্রমণ করতে পারেন।

“আমি সপ্তাহের শেষের দিকে, সম্ভবত রবিবার সেখানে যেতে পারি,” তিনি সাংবাদিকদের বলেন।

ট্রাম্প আরো বলেন, “আলোচনায় অগ্রগতির ‘খুব ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলছেন, “আমাকে একটি নোট দেওয়া হয়েছে যে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি এবং তাদের খুব শীঘ্রই আমার প্রয়োজন হবে।”

সংঘাতের অবসানের জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার থেকে মিসরে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।

রাষ্ট্র পরিচালিত আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলের মতে, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় তুর্কি গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি, মিশরীয় গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ এবং ইসরাইলি কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার রয়েছেন।

২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত ২০-দফা পরিকল্পনায় গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী নীতিগতভাবে এই পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় ছিটমহলে প্রায় ৬৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং এটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

পূর্বের খবরএকীভূত চক্ষুসেবা এবং প্রতিবন্ধিতা
পরবর্তি খবরপাঁচ দফা দাবিতে ত্রিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামাতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত