বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার (৩০ নভেম্বর) লন্ডন যাচ্ছেন। সেখানে ১০ দিন অবস্থান শেষে ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিবরেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দলীয় এক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির ওই সূত্রটি জানিয়েছে, মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক ও দলীয় কাজে লন্ডন যাচ্ছেন। সফরকালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির অন্য একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে বিএনপি। সরকারের সংস্কারের উদ্যোগেও সহযোগিতা করছে দলটি। তবে, ১০০ দিন পার হলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো রোডম্যাপ দেয়নি। এ নিয়ে বিএনপির ভেতরে বিভিন্ন আলোচনা রয়েছে। কারণ, তারা শুধু নির্বাচনব্যবস্থা-সম্পর্কিত সংস্কার শেষ করেই দ্রুত ভোট চাইছে।
দলগতভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিএনপি। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেসব দল ও জোট তাদের সঙ্গে ছিল, সেই মিত্রদেরও নির্বাচনে পাশে রাখতে চায় দলটি। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য ইসলামি দলগুলোর অবস্থান কী হয়, সেদিকেও নজর রেখেছেন তারা। এমন এক প্রেক্ষাপটে লন্ডন যাচ্ছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, এই সফরে লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। তার দেশে ফেরার পর ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসন প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করাবেন। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন।