ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লেখক সাহাদত হোসেন খান এর ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদূর রহমান বলেছেন, ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকে বলছেন আওয়ামী লীগ বোধ হয় ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এই বিপ্লবে বিদেশি কোন সমর্থন ছিলো না। এই বিপ্লব সম্পূর্ণভাবেই আমাদের বিপ্লব। কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প, না বাইডেন, না কমলা হ্যারিস আসলো তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসেনা। ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের ছাত্র-জনতার শক্তিতে বিপ্লব করেছি, কোন বিদেশী শক্তিতে করিনি। আমরা ওয়াশিংটনকে থোড়াই কেয়ার করি। সুতরাং ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করিনা। এটা যদি আমি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের মহান শহিদদের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা জীবন দিয়েছে শক্তিশালী আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলার জন্য। যে জাতি ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকবেনা। তাই ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে ভারতের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকে আমাদের দ্বিতীয়বার মুক্তি দিয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। আমাদের তরুণ ছাত্র-জনতা। অমরা শুধু ছাত্রের কথা বলি কিন্তু এটা বলতে গিয়ে অমরা যেন সাধারণ জনগণের কথা ভুলে না যাই, আমরা যেন শ্রমিকদের কথা ভুলে না যাই।
জাতীয় সংহতি দিবস স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর আমরা সিপাহী জনতার বিপ্লব দেখেছি। যে অসাধারণ বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হয়েছিল। সেই অভ্যুত্থান -এর মাধ্যমে সব বাংলাদেশি প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করে।
নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান (অব) লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খান। এসময় ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ বইয়ের লেখক সাহাদত হোসেন খান’সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।