বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এক শ্রেণির মানুষ অধিকার আদায়ের নামে বিভিন্ন লেবাসে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে যাচ্ছে। তারা অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ এবং সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করতে চায়। জনগণের ঐক্য অটুট রাখার মাধ্যমে এসব অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ই নভেম্বরের বিপ্লব ও ৫ই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থান : জনআকাঙ্খা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভয়েস অব টাইমস।
জাহিদ হোসেন বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতা বিপ্লব করে জিয়াউর রহমানকে দেশ গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলো। জিয়াউর রহমান এদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। তিনি নির্লোভভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এজন্য মানুষ বলে, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা যদি হয়ে থাকে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস, আর দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ৭ই নভেম্বর ১৯৭৭ সালে। তখন জিয়াউর রহমান মুক্ত হয়েছিল, বাংলাদেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিভিন্ন সংগঠন দাবি আদায়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে। সচিবালয় আনসার ঢুকে যাচ্ছে। ছাত্রদের নাম দিয়ে রাস্তায় বেরিকেট দিচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন’সহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছেন। বলছেন, অধিকার হরণ হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এতদিন তো আপনাদেরকে কোথাও দেখা যায়নি। ফ্যাসিস্টের দোসররা বিভিন্ন লেবাসে, বিভিন্ন নামে অস্থিরতা তৈরীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে চায়। সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করতে চায়। জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে এসব অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান কোন দলের একক প্রচেষ্টায় হয়নি। এটি সারা বাংলাদেশের মানুষ এই বিপ্লব করেছে। আজকে আমাদের যে গণঐক্য যেটা ১৯৭৫ এর ৭ই নভেম্বর হয়েছিল। সেই গণ ঐক্য আজকে বাংলাদেশে বর্তমান। এই গণঐক্য যদি থাকে এবং ৫ই আগস্ট যেটা হয়েছে, সিপাহী জনতার যে ঐক্য, সেটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হোক, সার্বভৌমত্বের ভিতর যত ষড়যন্ত্র হোক, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হোক, মানুষের অধিকার পুনরায় ছিনিয়ে নেওয়ার যত ষড়যন্ত্র হোক, কোন ষড়যন্ত্রে গণঐক্যের সামনে টিকবে না। আজকে আমাদের ৭ই নভেম্বরকে সামনে রেখে শপথ নিতে হবে কোন অবস্থাতেই গণ ঐক্যের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না।
মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বক্তৃতা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্ প্রমুখ।