চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এলএনজি আমদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার

66

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এলএনজি আমদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ২৫.৬১ মিলিয়ন ডলার শোধ করেছে সরকার। আর বাকি বকেয়া পরিশোধ না করায় বন্ধ রয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি। গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় ঘাটতিতে সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বকেয়ার চিত্রে দেখা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার। ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম কোম্পানি কাতার এনার্জিকে ২৫.৬১ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে সরকার। এতে বকেয়া কমে ৬০৭.৩৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বাকি ৬০৭.৩৫ মিলিয়ন ডলার তথা ৬০ কোটি বেশি ডলার দ্রুত পরিশোধের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছে রপ্তানিকারক দেশগুলো।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপকরণ ডিজেল, পেট্রল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল ও এলএনজি। দেশে ব্যবহৃত এসব জ্বালানির শতকরা ৬০ ভাগই আমদানি করতে হয়। এখন জ্বালানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন কমেছে।

দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৮ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকছে কমপক্ষে ২ হাজার মেগাওয়াট। ফলে ব্যাপক মাত্রায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

পূর্বের খবরজিয়ার মাজার সরানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন শেখ হাসিনা
পরবর্তি খবরলাদাখে দিল্লির সমান জায়গা দখলে নিয়েছে চীন: রাহুল গান্ধী