রিজার্ভ বাড়ল ৩১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার

115

ঈদুল আজহার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ হিসাব প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য বলছে, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৫২ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার (১৯.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার (বিপিএম৬)।
একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বিভিন্ন মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার (২৪.৭৮ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।
এক সপ্তাহ আগে ১৩ জুন আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার (১৯.২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার (বিপিএম৬)। একই সময়ে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৫২ কোটি ১৬ লাখ (২৪.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিল মাসের দায় মেটানোর পর মে মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট রিজার্ভ কমে দুই হাজার ৩৭৭ কোটি ডলারে নেমে আসে। আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নামে এক হাজার ৮৩২ কোটি ডলারে। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। আইএমএফের প্রতিনিধি দল সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের পর এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে পূণর্র্নিধারণ করে।

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে প্রয়োজন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার। এ হিসাবে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব করলে বাংলাদেশের রিজার্ভ এরই মধ্যে বিপজ্জনক সীমার মধ্যে পড়ে গেছে।

পূর্বের খবরত্রিশালে ২শত বছর আগে নির্মিত যে মসজিদ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আজও
পরবর্তি খবরচীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বাংলাদেশের ছয় শিক্ষার্থী