মালিকের দাবি এবছরও দেশ সেরা কালো মানিক

155

ফারুক আহমেদ, ময়মনসিংহ :
কোরবানীর ঈদে সবার দৃষ্টি থাকে গরুর দিকে। এবারের কোরবানীর ঈদেও আলোচিত সেই গত চার বছরের হাঁট কাঁপানো কালো মানিক ষাঁড়টি। কালো মানিকের মালিকের দাবি ২২০০ কেজি ওজনের এ ষাড়টি এবারও দেশ সেরা। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা দক্ষিন ভাটিপাড়া গ্রামের আলোচিত কালো মানিক। দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।
গত কোরবানীর ঈদে কালো মানিকের দাম হয়েছিল বিশ লাখ টাকা। গত চার বছর ধরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরো একবছর লালন পালন করে এ কোরবানীর ঈদে ২২০০ কেজি ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি ময়মনসিংহ অঞ্চলে সহ সারাদেশে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।
জানা যায়, এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালো মানিক। গত আট বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন ২২০০ কেজি। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। কালো মানিকের নাম আশ পাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে।
বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারন মানুষতো বটেই দুর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সাথে তুলনা করছেন। কালো মানিককে দেখতে আসা সাহিদমান শেখর, স্বর্ণা সুলতানা, আবরার কবীর ফাইয়াদ ও মারুফ ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর ধরে কালো মানিক ষাঁড়টির কথা শুনতেছি। শুনেছি বিক্রি হয়নি। তাই দেখতে আসছি। দেখে মুগ্ধ, অনেক বড় হয়েছে কালো মানিক।

কালো রংয়ের হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। তার আকৃতি এবং রঙ সবাইকে আকর্ষণ করে। আমার মত অনেকেই এ ষাঁড়টি দেখতে আসে। কালো মানিক এবারের ঈদে কার ভাগ্যে জুটে তা দেখার অপেক্ষায়।
কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, অনেক শখ করে গত আট বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যতœ আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্রা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যতœ নেই। গত কয়েক বছর ধরে ভাল দাম না পওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারিনাই। তবে এ বছর আশা করছি ভাল দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো।
কালো মানিকের চিকিৎসক কামাল উদ্দিন জানান, আমি কালো মানিককে গত আট বছর ধরে চিকিৎসা করে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ষাঁড়টির মাংসও সুস্বাদু হবে বলে তার দাবি। এটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও ভেটেনারী হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. নাজনীন সুলতানা সুরভী জানান, এ উপজেলায় গত চার বছর ধরে কালো মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত ছয় বছর ধরে খামারী এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করছে। কোন কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করে নাই। আমরা আশা করছি ষাঁড়টির মালিক ভাল মূল্য পাবেন।

পূর্বের খবরকালিহাতীতে প্রাইভেটকার-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩
পরবর্তি খবরসরকারের উদাসীনতায় সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল- প্রিন্স