রাস্তায় ঘরমুখো মানুষের ঢল, বাস সংকট

69

অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) অফিস শেষ করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দুপুর থেকেই রাস্তায় যাত্রীর চাপ। ঢাকার গাবতলী, সাভার, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মহাখালীসহ সব বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে।
বাড়তি যাত্রী সামলাতে মালিকরা বাড়তি গাড়ি রাস্তায় নামালেও গাড়ি সংকটে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বিকেলে দেখা যায়, সাভারের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। অতীতের তুলনায় যাত্রীর চাপ এবারই সর্বোচ্চ বলে দাবি করে চালক, কাউন্টার মাস্টারসহ স্থানীয় দোকানিরা।
রাজধানীর অদূরে সাভারে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ আর যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ২৬ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যদিও হাইওয়ে পুলিশ বলছে, যানজট নয়, যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে দেখা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে নয়ারহাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ও নবীনগর থেকে জাহাঙ্গীরনগর পর্যন্ত চার কিলোমিটারসহ বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটারসহ ২৬ কিলোমিটার যানজট রয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বাইপাইল আসা অনিক নামের এক যাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উত্তরা থেকে বাইপাইল পর্যন্তই যানজট। তবে নরসিংহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত গাড়ির চাকা ঘুরছে না। আমি কিছু রাস্তা হেঁটে আবার কিছু রাস্তা গাড়িতে এসেছি। প্রায় চার ঘণ্টায় আমি বাইপাইলে আসতে পেরেছি। বাইপাইল থেকে চন্দ্রা আসতে পোশাক কর্মী মমিনুলের সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। ’
ঠিকানা পরিবহনের চালক মোন্নাফ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রা মোড় থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে শ্রীপুর পর্যন্ত ঠেকেছে। ধীরে ধীরে যানজট আরও বাড়ছে। আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম, আজ প্রচুর যানজট হবে। গত তিন-চার দিনে অনেক যাত্রী যেতে পারেননি। তাই শেষ সময়ে চাপ পড়বে, এটিই স্বাভাবিক। ’
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আইয়ুব বলেন, ‘মহাসড়কে হঠাৎ যাত্রী আর যানবাহনের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সড়কে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে যানজট নেই। আমরা ধীরগতি কিংবা ছোটখাট যানজট সৃষ্টি হলে দ্রুত নিরসনে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ’
গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার পরপরই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহন কমে গেছে। যাত্রী বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ বাড়েছে কয়েকগুণ। সড়কে যাত্রী বাড়ায় ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ।
টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহন কম। বাস স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যাও তেমন নেই। যাত্রী সংকটের কারণে যানবাহন কমে গেছে রাস্তায়। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মানুষ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা- ঘোড়াশাল সড়কেও স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল করছে। নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদ বাড়ি ফিরতে মহাসড়কের পাশে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ।
গাজীপুরগামী বলাকা বাসের চালক জানান, অনেকেই ঈদের ছুটিতে চলে গেছেন। আস্তে আস্তে সব ফাঁকা হয়ে যাবে।

পূর্বের খবরজাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায়
পরবর্তি খবরময়মনসিংহে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত