গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিশরে ছুটে গেলেন বাংলাদেশি যুবক

77

ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজায় সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ থেকে মিশরে ছুটে এসেছেন এক যুবক। প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন নামের এ যুবক আমেরিকাভিত্তিক বাংলাদেশি এনজিও ‘আশ’ ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
মিশরের অন্যতম বৃহৎ এনজিও সংস্থা ‘ইজিপশিয়ান ফুড ব্যাংক’ ও ‘ইজিপশিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিল’ এর সঙ্গে যৌথভাবে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাচ্ছেন তিনি।

মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, ‘গাজায় শিশুদের আত্মচিৎকার, অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র আমাকে ব্যথিত করেছে।
গাজার সঙ্গে একমাত্র সীমান্ত রাফা ক্রসিংয়ের মাধ্যমেই সহযোগিতা পাঠানো যায়। তাই নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গত ৫ নভেম্বর ছুটে এসেছি কায়রো। মিশর সরকার অনুমোদিত ইজিপশিয়ান ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে দুই হাজার পরিবারের জন্য খাবার এবং পানি পাঠিয়েছি। ‘
এর আগে, গাজায় জরুরি সহযোগিতা পাঠাতে ইজিপশিয়ান ফুড ব্যাংক ও আশ ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। এছাড়াও ইজিপশিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিল নামে আরেকটি মানবিক সংস্থার সঙ্গেও এ সমঝোতা চুক্তি করে আশ ফাউন্ডেশন।

গাজায় ত্রাণ পাঠাতে মিশর সরকার অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে অ্যালোয়েন্সের লোগো সম্বলিত ট্রাকে করে ত্রাণ পাঠাতে হয়। এর আগে ত্রাণগুলো কায়রোতে ইন্সপেকশন হয়ে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। রাফা ক্রসিং এ রেড ক্রিসেন্ট এর মাধ্যমে গাজায় ইউএনআরডব্লিউর বিতরণ পয়েন্টগুলোতে পৌঁছাতে হয়। অবশ্য সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ত্রাণগুলো পর্যবেক্ষণ করে অনুমতি দিলেই গাজায় প্রবেশ করানো সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, ‘গাজায় কাফনের কাপড় সংকট। সকলে খাদ্য সহায়তা দিলেও কেউ কাফনের কাপড় দিচ্ছে না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কাফনের কাপড় পাঠাবো। ৫০ জন নারী, ৫০ জন পুরুষ ও ১১০ জন শিশুর জন্য আতর, সাবান ইত্যাদি নিয়ে পুরো কাফনের কাপড়ের সেট তৈরি করে পাঠিয়েছি। সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে এসব গাড়ি ছুটছে গাজার উদ্দেশ্যে। এই কনভয়ের সঙ্গে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান এক সংস্থার ট্রাক, ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা। আমরাও চেষ্টা করেছি লাল সবুজের পতাকাখচিত বাংলাদেশের সহায়তা গাজায় পৌঁছে দিতে। ’

পূর্বের খবর২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
পরবর্তি খবরএইচএসসির ফল রবিবার, যেভাবে জানা যাবে