ত্রিশালে ওএমএসের ১৫ বস্তা চাল আটক করে জনতা

ফারুক আহমেদ :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর আওতায় ওএমএসের ১৫ বস্তা চাল অবৈধভাবে সরানোর সময় আটক করে জনতা। ঘন্টা দুয়েক এই চাল আটক রেখে স্থানীয় প্রশাসনকে সংবাদ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় চাল নিয়ে যায় অবৈধ চক্র।

জানাযায়,মঙ্গলবার থেকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ২৩ টি পয়েন্টে ২৪৫৩৯ হাজার উপকোরভোগীর মাঝে ৬৭৬ টন চাল বরাদ্ধের প্রেক্ষিতে ১০টি পয়েন্টে ১৫ টাকা মুল্যে এ চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ত্রিশাল পৌরসভার কেরানী বাড়ির মোড়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারী বস্তা বন্ধি ১৬ বস্তা চাল সহ ভ্যান আটক করে। এসময় ভ্যানচালক জানান, ত্রিশাল ইউনিয়নের পাঁচপাড়া চাল বিতরন কেন্দ্র থেকে এ চাল সংগ্রহ করে স্থানীয় কালোবাজারী আবুল। পরে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানালেও কোন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়নি। পরে কালোবাজারী আবুল স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সে চাল তার গুডাউনে নিয়ে যান বলে স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে একটি ভ্যানে করে ১৫ বস্তা চাল যেগুলোর গায়ে লেখা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্ধেশ এ লিখা দেখে আমরা আটক করলে ভ্যান চালক জানান সরকারী চাল ক্রয় করে স্থানীয় আবুল হোসেন তার গোডাউনে নিয়ে যাছে। পরে আমরা ইউএনও খাদ্য অফিসারকে জানালে তারা কেউ আসেনি। পরে আবুল প্রভাবশালীদের নিয়ে এসে আমাদের হুমকি দিয়ে চাল নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার যোগসাজশে এ দুর্নীতি আর কালোবাজারী হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইলিয়াস আহমেদ উপজেলা সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শককে ঘটনাস্থলে পাঠানোর দাবী করলেও বাস্তবে লাইলিকে ঘটনাস্থলে দেখেনি স্থানীয়রা। শেখ হাসিনার লগো সম্বলিত বস্তা নিয়ে তিনি বলেন এ ব্যাপরে ওসিএলএসডিকে নির্দেশ দিয়েছি বাস্তবায়নের দায়িত্ব তিনি পালন করার কথা।

ধানী খোলা খাদ্য গোদামের দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, শেখ হাসিনার লগো সম্বলিত কোন বস্তা আমার গোডাউন থেকে যায়নি। প্রতিটি বস্তা নিজ হাতে মুছে দিয়েছি। তবে তাঁর দাবীর সাথে মিল নেই বাস্তবতার। প্রতিটি ডিলারের দোকানে থাকা চালের বস্তায় রয়েছে শেখ হাসিনার লগো সম্বলিত বস্তা।

এ বিষয়ে দেবব্রত বিশ্বাসের বক্তব্য নেওয়ার পর তাঁর অফিসের লেবার আবুল কাশেম ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে এবং দেখা করতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি বিষয়টি শুনার পর খাদ্য কর্মকর্তাকে ব্যবস্থার নেয়া নির্দেশ দিয়েছি। যদি ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে তাহলে এ ব্যপারে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। বস্তার গায়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, এই বস্তা গুলো পুরাতন তাই বস্তার গায়ের লেখাগুলো মুছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। যদি না মুছে থাকে তাহলে এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বের খবরজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়জন শিক্ষার্থী বহিস্কার হলেন
পরবর্তি খবরত্রিশালে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার