
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মজয়ন্তীতে ‘পিতার হাতে স্বাধীন দেশ, কন্যার হাতে উন্নত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সহ সাংস্কৃতিক আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি। আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার, বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার জীবন দর্শণ আলোচনা সহ এই আয়োজনের মধ্যে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা, নৃত্য ও পঞ্চ কবির গান। জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা সহ উদ্বোধন করা হবে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের অনলাইন মুখপত্র ‘মহানগর ডট নেট’ ও ‘মহানগর’ নামে ইউটিউব চ্যানেল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমা দত্ত।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল।
সভাপতিত্ব করবেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম নূরুজ্জামান, সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার লুনা। ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে কমিটির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শের নাম, একটি চেতনার নাম, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের একটি অনুভূতির নাম। তিনি এখন বিশ্বের বিস্ময় এবং বাংলাদেশের অহংকার। তার সততা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও কঠিন পরিশ্রমে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের অনলাইন মুখপত্র ‘মহানগর ডট নেট’ ও ‘মহানগর’ নামে ইউটিউব চ্যানেল উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখতে তার জন্মদিনকে বেছে নেওয়া হয়েছিলো। যা আগামী ১৪ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠান দুইটি শেখ হাসিনার জন্মদিনেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই কারনে আগামীতে তার জন্মদিনে প্রতিষ্ঠান দুইটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলে আমরা ভাগ্যবান। তার দূরদর্শী ভূমিকায় করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। বৈশ্বিক মন্দায় কিছুটা হলেও আমরা স্বস্তিতে আছি। তার সময়োপযোগী নেতৃত্ব দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বদরবারেও।
তার নেতৃত্বেই এইবছর ১১ অক্টোবর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য পদের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া ১৮৯টির মধ্যে ১৬০ ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবেসে সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার কাজে ব্রতী হয়েছেন। আমাদের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে তার লক্ষ্য অর্জনে সর্বাত্মক সাহায্য করা।