যমুনায় অসময়ে বাড়ছে পানি তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

টাঙ্গাইলের ভুঁঞাপুরে যমুনা নদীতে হঠাৎ পানি বাড়ছে। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও ফসলি জমি। এতে নদীর পানিতে চরাঞ্চলে রোপন করা ভুট্টা, বাদাম, কালাই ও ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) যমুনা নদীতে ২২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে ১২ বিঘা জমিতে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল রোপণ করেছিলাম। গতবছরের তুলনায় এবার ফসল ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই পানি বাড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লাম। কৃষক হুরমুজ প্রামাণিক, রহিজ উদ্দিন জানান, এ সময়ে নদীতে পানি বাড়বে সেটা কল্পনাও করিনি। পানি বাড়ার আশঙ্কা থাকলে ফসল রোপণ করতাম না। এখনও পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফসল তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক ফসলের চারা কেটে গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে কৃষকরা জেগে ওঠা চরে বাদাম, কাতি কালাই, ভুট্টা ও গাইঞ্জা জাতের ধান রোপণ করেছে। এতে ফসল ভালো হলেও অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার চরাঞ্চলের ফসলি জমি ও ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুয়ামূন কবীর জানান, অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে।

এখনও পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের রোপণ করা বাদাম, ভুট্টা, কালাই ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।