মোবাইলে ধুকছে শিক্ষার্থীরা

ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ডিভাইস ও প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো সবারই কমবেশি জানা। প্রযুক্তি মানুষের জীবনে যেমন সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারে রয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দুনিয়া হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের সন্তানরা বর্তমানে মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি সময় কাটায়। মোবাইলে অনলাইন ক্লাস এর কথা বলে তারা বিভিন্ন ধরনের গেমস, মিডিয়া সাইড গুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমরা কিছু বলি না, কারণ তারা মোবাইলে ক্লাস করছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে এক সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেধাশূন্য হওয়ার আশঙ্কা করছে।

বর্তমানে একজন শিশুকে খাবার খাওয়ানোর সময়ও মোবাইলে গেমস চালু করে দিতে হয়। সে কি খেল তা নিজেও জানে না। এখান থেকেই সে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা এক ধরনের নেশা। আর করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোবাইলই একমাত্র ভরসা শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘প্রথমে তাদের কাছে ফ্রি ফায়ার গেমস ভালো লাগত না। কিছুদিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন তারা আসক্ত হয়ে গেছেন। এখন গেমস না খেলে তাদের অস্বস্তিকর মনে হয় বলে জানা যায় । তিনি আরও বলেন, ‘তিনি পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানতেন না। এখন নিয়মিত ফ্রি ফায়ার গেমস খেলেন তিনি। মাঝে মধ্যে গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয় তার। তিনি আরো বলেন, ফ্রি ফায়ার গেমস যে একবার খেলবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় আব্দুল ওহাব মোল্লা জানান, এ সমস্যা থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েদের, বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনেকেই পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস। কখনো খারাপ সাইটে বিভিন্ন ছবিও দেখছে। এতে করে একদিকে তাদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তাই কিশোর- কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবার খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে এবং প্রতিটি সন্তানকে একটু যত্ন সহকারে খেয়াল রাখার দায়িত্ব বলে মনে করেছেন সচেতন মহল। – আমাদের সময়