মেট্রোরেলের যুগে পা রাখছে বাংলাদেশ

আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল। একসময় মেট্রোরেলকে স্বপ্ন মনে করা হতো। বিশেষ করে বিপুল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজনীয়তা সামনে এলে স্বপ্ন ভাবাটাই যেন যৌক্তিক মনে হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর পর আরও একটি স্বপ্ন সত্যি হলো যার নাম মেট্রোরেল। এই মেট্রোরেল এখন বাস্তবতারই অন্য নাম।

অনেক প্রতিকূল পথ পেরিয়ে, সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এখন গন্তব্যে ছুটতে প্রস্তুত দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন। একেবারেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে ট্রেন। টিকিট ব্যবস্থাও পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড। আজ উদ্বোধন শেষে বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী নিয়ে ছুটবে ট্রেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মেট্রোরেলের এই ঐতিহাসিক যাত্রার উদ্বোধন করবেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ী থেকে ট্রেনে উঠে আগারগাঁও আসবেন। এর মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চলবে যাত্রী ব্যবস্থাপনা।

যাত্রী চলাচলে থাকবে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে, পৌনে ১২ কিলোমিটার এ পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড। শুরুতে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেনগুলো মাঝপথে কোথাও থামবে না। কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেলের চলাচল, স্টেশনে থামা, কোথায় কত গতিতে চলবে—এর পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে, একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এ ব্যবস্থা উত্তরার দিয়াবাড়ীর ডিপোতে থাকা অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে (ওসিসি) থাকবে।