
অনলাইন ডেস্ক : দেশে বাণিজ্যিকভাবে ‘ভেনামি চিংড়ি’ চাষের অনুমতি।
দেশে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩১ মার্চ, শুক্রবার বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এস এম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভেনামি চিংড়ির চাষের অনুমতি পত্র মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য নির্দেশিকা ও অনুমতি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের দাবি করে আসছিলেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন এবং এমইউসি ফুডসকে ভেনামির পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় সরকার।
বাংলাদেশে বাগদার চেয়ে ২০ গুণ বেশি উৎপাদন ক্ষমতার উচ্চ ফলনশীল ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ করে সফল হয়েছেন চাষিরা।
চাষিরা বলেন, ভেনামি চিংড়ি রোগ সহনীয় এবং বৃদ্ধিও সন্তোষজনক। এতে খরচও কম। বাগদা চিংড়ি চাষে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে ভেনামি চিংড়ি চাষে মাত্র ৫০ টাকা খরচ হবে।
এদিকে, বিশ্বের ৬২টি দেশে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়ার দেশে রয়েছে ১৫টি। বিশ্বে চিংড়ি বাণিজ্যের ৭৭ শতাংশ দখল করে আছে ভেনামি চিংড়ি। বাগদা চিংড়ির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি।