মোঃ খলিলুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজের একদিন পর জসীম উদ্দিন (১৮) নামে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ীর পাশে একটি ফিশারীর পাড় থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সে উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের কৃষক নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে প্রতিবেশী খলীল মিয়ার ছেলে বখাটে সুজন মিয়ার সাথে দিনমজুর জসীম উদ্দিন ধীতপুর তালিমুল কুরআন কওমী মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে যায়। পরে রাতে বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে মোবাইল করলে সে অনেক দূরে আছে বলে লাইন কেটে দেয়। এরপর থেকে তার আর কোন যোগাযোগ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। মাইকে তার নিখোঁজের সংবাদ বিভিন্ন স্থানে প্রচার করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ভোরে বাড়ীর পাশে আমনখোরা বিলে ফিশারীর পাড়ে একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন । লাশের সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দিনমজুর জসীমের লাশ বলে নিশ্চিত হন । খবর পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন জসীম। চার ভাই ও তিন বোনের মাঝে সে ছিল তৃতীয়। নিহতের পরিবার জানায় ছেলে জসিমের সাথে কারো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না ।
ঘটনার পর থেকে জসিম নিখোঁজ হওয়ায় সন্দেহের তীর ছিল প্রতিবেশী সুজন মিয়ার দিকে। জসিমের উদ্ধার হওয়া লাশ দেখে হতবাগ হয়ে যায় পরিবার। লাশের মাথায় ও গলায় প্রচন্ড আঘাতের চিহৃ ছিল। মা রহিমা খাতুনসহ পরিবারের লোকজন চিৎকার করে কাঁদছেন।
নিহতের বোন পারুল ও জমিলা খাতুন জানায় নতুন একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫০০টাকা ছিল জসিমের সাথে। স্থানীয়দের ধারনা টাকা ও মোবাইলের জন্য ঘটতে পারে এ লৌমহর্ষক হত্যাকান্ড।
এ ব্যাপারে ফুলপুর থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, উদ্ধার হওয়া ঐ দিনমজুরের লাশের শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।