
এবার প্রেমের টানে মহেশখালীতে ছুটে এলেন থাই তরুণী। বসলেন বিয়ের পিঁড়িতেও। গত ১২ ডিসেম্বার কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর তরুণ ওসমান গণির (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় থাই তরুণী তানিদার (৩৭)।
ওচমান গণি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। বিয়ের পর ওচমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা। প্রতিদিনই তাকে দেখতে গ্রামের নারীরা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে ওসমান গণি বলেন, গত বছর তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে তার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন থাই তরুণী। সে সময়ে ৭ দিন থাকার পর গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তার নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় তাদের।
ওসমান গণি আরও জানান, তার স্ত্রী তানিদা থাইল্যান্ডে একটি চাকরি করেন। এক মাসের ছুটি নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।
এদিকে থাইল্যান্ডে গিয়ে তানিদা ওসমানের জন্য ভিসার আবেদন করবেন। ভিসা পেলেই সে ওসমানকে তার দেশে নিয়ে যাবে।
ওসমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা–ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে।’
পাঁচ বছর আগে থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার (৩৭) সঙ্গে পরিচয় হয় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর তরুণ ওসমান গণির (২২)। মেসেঞ্জারে কথা হতে হতে বছরখানেকের মাথায় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় বিয়েতে।