প্রেমিকার বাবা–ভাইয়ের পিটুনিতে তরুণের মৃত্যুর

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রেমিকার বাবার পিটুনিতে আহত তরুণ সোহাগ আহমেদ (১৮) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তরুণের সোহাগের বাবা আখের আলী।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোহাগ আহমেদ উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোঁয়া এলাকার আখের আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাবুল মিয়ার তাঁত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোঁয়া এলাকার আখের আলীর ছেলে সোহাগ আহমেদের সঙ্গে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবুর দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলের পরিবারের আর্থিক অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ হওয়ায় মেয়ের বাবা ও ভাই এ সম্পর্ক মেনে নেননি। গত ২১ নভেম্বর বাড়িতে গিয়ে সোহাগকে মারপিট করে আসেন তাঁরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে সোহাগ মারা যান।

সোহাগের বাবা আখের আলী বলেন, ‘কাজ না করলে আমাদের এক বেলার ভাত জোটে না। কিন্তু আমার ছেলে সোহাগের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবুর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা গরিব হওয়ায় এ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তারা। আমাদের বাড়িতে এসে ২১ নভেম্বর সোমবার আমার ছেলেকে মারপিট করে। আজ মঙ্গলবার ভোরে আমার ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।’
সোহাগের মামা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমার ভাগনেকে বাড়িতে গিয়ে সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবুর মারধরের কারণেই সোহাগ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমি এর বিচার দাবি করছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন শামীম বলেন, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবু বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এটা ঠিক। কিন্তু মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ের বাবাকে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’