প্রস্তুত শহীদ মিনার

সন্ধ্যার পর রাতের প্রথম পর্বের পাঠ চুকলেই একুশের প্রথম প্রহর। জাতির সূর্য সন্তানদের দিন, একুশে ফেব্রুয়ারি। সোমবার দিবাগত রাতের প্রথম প্রহরে জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেজে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধাপে ধাপে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে স্মৃতির মিনার। জাতি স্মরণ করবে বায়ান্নর বীর শহীদদের।
সরেজমিনে সোমবার বিকালে দেখা যায়, শহীদ মিনার ঘিরে ব্যপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। স্তরে স্তরে বিভিন্ন বাহিনীর নজরদারি চলছে। শেষ মুহূর্তের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তা আলপনার রাঙানো হয়েছে৷ আশেপাশের রাস্তার দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে। গাছের গুঁড়ি রং করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা রোববার শহীদ মিনার ও এর পাশের রাস্তায় আলপনা আঁকেন। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নকর্মীরা এই এলাকা পরিষ্কার করেন।
ইতোমধ্যে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও দেখা গেছে। করোনা মহামারিতে জনসমাগম এড়াতে গত দুই বছর সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজন একসঙ্গে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের নির্দেশনা থাকলেও এবার সে বিধিনিষেধ থাকছে না।

জনসাধারণের শহীদ মিনারে যাওয়ার পথ এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যেতে হবে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্ত্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করতে হবে। শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও প্রণীত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য। শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না, কোনো ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টাঙানো যাবে না।
শহীদ মিনারের প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।