
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার আগে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন জনগণের ভূমিকা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায়, সন্ত্রাস দমন বা কোনো কাজ করতে গেলে জনগণের সহায়তা একান্তভাবে দরকার। মানুষ যেকোনো বিপদে পুলিশকে পাশে পেলে তারা যেন অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়। পুলিশ তার পেশাদারিত্ব ও সহমর্মিতা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করবে।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে এ বাহিনীর জনবল, ভৌত অবকাঠামো, লজিস্টিকস ও যানবাহন, আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিসহ পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার সব সময়ই আন্তরিক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে এসেছে। অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক নিরাপত্তাসহ প্রতিটি সেক্টরে আজ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির যথাযথ বিস্তৃতি ও ব্যবহারের সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণও আজ ভোগ করছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশেও আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ খাতে আমাদের যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে মেট্রোরেল চলতে শুরু করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগা প্রজেক্টের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হচ্ছে। দেশ যেভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশের সারিতে নাম লেখাতে সক্ষম হবে।