ত্রিশালে চার কিলোমিটার সড়কে ১৬ গতিরোধক!

ত্রিশালে চার কিলোমিটার সড়কে ১৬ গতিরোধক!

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ত্রিশাল-বড়মা আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব চার কিলোমিটার। এ চার কিলোমিটার সড়কে বসানো হয়েছে ১৬ গতিরোধক। ত্রিশাল পৌরসভার অংশ থেকে শুরু হয়ে বড়মা বাজার যেতে সড়কের প্রবেশপথেই উঁচু একটি বড় গতিরোধক দিয়ে শুরু। এভাবে পুরো চার কিলোমিটার সড়কে কোথাও ৫০ ফুট, কোথাও ১০০ ফুট দূরত্বে বসানো হয়েছে গতিরোধক।

সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীদের অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়া যত্রতত্র বসানো এসব গতিরোধকই পথচারীর ও যানচলাচলের জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার সিমানার পর বড় একটি গতিরোধক দেওয়া হয়েছে। তারপর কিছু দূর যাওয়ার পর একের পর এক গতিরোধক। যা সাধারনত কত সময় চোখে পড়ে অনেক সময় পড়ে না। সড়কটি দিয়ে যান বলতে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। তবে সেই সড়কেই রয়েছে ১৬টি গতিরোধক। সড়কের পাশে পাঁচ-সাতটি দোকান থাকলেই তার দুই পাশে দেয়া হয়েছে গতিরোধক। বাড়ি, স্কুল, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনার সামনে অপরিকল্পিত ইচ্ছামতো দেয়া হয়েছে গতিরোধক। কোন গতিরোধকেই দেওয়া হয়নি রংয়ের সাইন। অনেক সময় অপেক্ষা করেও দেখা গেল অপরিচিত যানচালক গতিরোধক না দেখেই গতিরোধকের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চালিয়ে যাচ্ছেন। এত ঘটছে দুর্ঘটনা। দিনের বেলাতে ঝুঁকি এড়াতে পথচারী, মোটরসাইকেল চালকরা গতিরোধক এড়িয়ে সড়কের পাশ ঘেঁষে চলাচল করছেন। রংয়ের সাইন না থাকায় গ্রামীণ সড়কে গতিরোধকগুলো রাতে বোঝার কোন উপায়ও নেই।

আরিফুল ইসলাম নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, এই কম দুরত্ব সড়কে এত গুলো বিট মেনে নেওয়া যায়না। বিটগুলো যে উঁচু করে এবং ঘনঘন দিছে তাতে অনেক সময় ব্রেক করতে করতে গাড়ী উল্টে পড়ে। অনেক সময় এগুলো দেখাযায়না তখর উপর দিয়েই চালিয়ে দিতে হয়। আর রাতে বিট দেখা যায়না তখন পড়তে হয় বেশী সমস্যায়। আমিসহ অনেকেই এসব বিটের কারনে দুর্ঘটার শিকার হয়েছে। কোনো মোটরসাইকেল চালক এই সড়কে প্রথম আসলে অবশ্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন। যে যার ইচ্ছেমত বাড়ি, মসজিদ, দোকানের সামনে বিট দিয়েছে। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ, এর দায় কে নিবে?