টুঙ্গীপাড়ার ছেলেটি – শাহানাজ বেগম

১৭ মার্চ ১৯২০ সাল টুঙ্গীপাড়া গ্রাম,
জন্ম নিল ছোট্র শিশু শেখ মুজিবুর রহমান।
মায়ের নামটি সাহারা খাতুন, বাবা শেখ লুৎফর রহমান,
ছয় সন্তানের পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান
নিজ বাড়িতে ছোট্র ছেলের বাল্যশিক্ষা শুরু
পন্ডিত সাখাওয়াতুল্লাহ ছিলেন প্রথম শিক্ষাগুরু।
চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন মাদরীপুর স্কুলে,
চাকুরি সূত্রে বাবা গেলেন গোপালগঞ্জে চেলে।
গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র
শেখ মুজিবুর রহমান সবার ভালবাসার পাত্র।
গোপালগঞ্জে এলেন তখন একে ফজলুল হক,
যাত্রাপথে নির্ভয়ে মুজিব আগলে দাঁড়ান পথ।
দাবি তাদের মানতে হবে,হবে হোস্টেল ছাদ
তেজোদ্দীপ্ত সাহস দেখে দিলেন ধন্যবাদ।
সাথে সাথে দিয়ে দিলেন মেরামতের টাকা
মুগ্ধ হলেন সোহরাওয়ার্দী বালক মুজিবের কথায়।
গোলার ধান দিয়ে দিতেন দরিদ্রেদের মাঝে
সবার তরে ভাবনা যাঁর সকাল-বিকেল সাঁজে।
বিয়ে হল নয় বছরে পারিবারিক রীতি,
তিন বছরের ফজিলাতুন্নেছা পাত্রী যথারীতি।
৪২ শে করেন তিনি প্রবেশিকা পাস,
এরই মাঝে করেন তিনি দু’বার কারাবাস।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথান
৬৬ র স্বাধীকার বঙ্গবন্ধুর অধিকার।
সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দল
বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন নির্বাচনী ফল।
পাকিস্তানের হায়েনারা করেন তালবাহানা,
যে করেই হোক ক্ষমতা তারা পূর্ববাংলায় দিবেনা।
গর্জে উঠল নেতার কন্ঠে স্বাধীনতার ডাক
লাখো জনতার ঢল নামলো সোহরাওয়ার্দী মাঠ।
বজ্রকন্ঠে ঘোষণা দিলেন জাতির পিতা বঙ্গবীর
প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা,মুক্তি চাই বাঙ্গালীর।
২৫ মার্চ রাতের বেলা গভীর অন্ধকারে
হায়েনার দল ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালির পরে।
হত্যাযজ্ঞ চালায়ে তারা বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার,
প্রথম প্রহরে দিলেন পিতা ঘোষণা স্বাধীনতার।
৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা,
ছিনিয়ে আনলো বিজয় পতাকা কোন সে মহান নেতা।
নামটি তার শ্রদ্ধাভরে স্মরে যাবো আজীবন,
কোটি বাঙালির প্রাণের প্রদীপ শেখ মুজিবুর রহমান।