
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, চা কমাতে পারে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। দিনে বেশ কয়েক কাপ চা খেলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে ১৭ শতাংশ। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কত কাপ চা খাবেন?
ডায়াবেটিস বলতে সচরাচর আমরা যেই রোগকে বুঝে থাকি তা আসলে ‘টাইপ ২’ ডায়াবেটিস। এটি খুবই পরিচিত একটি রোগ, যা রক্তে সুগারের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে আপনার মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো থাকলেই যে আপনি অসুস্থ বোধ করবেন – ব্যাপারটা এমন নয়। এ ছাড়াও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস আপনার দৃষ্টিশক্তি, হার্ট এবং স্নায়ু (নার্ভ)-এর বিভিন্ন মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। এসব রোগের ঝুঁকি কমাতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে।
সকালে চোখ খোলার পর এক কাপ চা না পেলে ঘুম যেন কাটতেই চায় না। শুধু কি সকালে? সারা দিনে কাজের ফাঁকে ঘন ঘন চা খান অনেকেই। বন্ধুদের আড্ডায়, কাজের ব্যস্ততায়, ছুটির সন্ধ্যায়— সবেতেই সঙ্গী চা। চায়ের অনেক গুণ। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, চা কমাতে পারে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। ‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব ডায়াবিটিস’-এর করা একটি সমীক্ষা বলছে, দিনে কমপক্ষে চার কাপ চা খেলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে ১৭ শতাংশ।
চায়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদানগুলির রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সারা দিনে বেশ কয়েক বার চা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি কমাবে।
৫০-৬৫ বছর বয়সি প্রায় ৩০০ জনের উপর একটি সমীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কয়েক জন ছাড়া অধিকাংশই ডায়াবিটিসের সমস্যায় আক্রান্ত। যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা নেই, তাঁদের জীবনযাপন নিয়ে আলাদা একটা সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই কয়েক জন সারা দিনে বেশ কয়েক বার চা খান। বরং যাঁরা ডায়াবিটিসসে ভুগছেন, তাঁদের চা খাওয়ার প্রতি তেমন ঝোঁক নেই। খেলেও পরিমাণে কম খান।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধু ডায়াবিটিস নয়, চায়ের ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান হার্টের সমস্যা দূর করতেও সক্ষম। চা যত্ন নেয় হৃদ্যন্ত্রেরও। মরসুমি গলাব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তাড়াতেও চায়ের বিকল্প নেই।